আদা ও হলুদ শুধুমাত্র মসলা নয়, বরং ঔষধি গুণসম্পন্ন ফসল, যা এখন ছাদ, বারান্দা বা উঠানে বস্তায় সহজেই চাষ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে কম জায়গায়, কম পানি ও জৈব উপায়ে সারা বছর চাষ করা যায়। পলিপ্রোপিলিন বা জুটের বস্তায় দোআঁশ মাটি, পচা গোবর, বালি ও ছাই মিশিয়ে তৈরি মাটিতে আদা ও হলুদের কাটিং রোপণ করে উৎপাদন শুরু করা হয়। প্রতিটি বস্তা থেকে প্রায় ১.৫ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।
১২ মাসি আম যেমন আম্রপালি, হাইব্রিড বারোমাসি, নিলাম্বরী জাতের আম এখন ছাদ বা বারান্দায় ড্রাম বা টবে চাষ করে সারা বছর পাওয়া যায়। এটি একটি লাভজনক, স্বাস্থ্যকর ও শখের কৃষি পদ্ধতি।
মাশরুম চাষ একটি লাভজনক, স্বল্প খরচের এবং অল্প জায়গায় চাষযোগ্য পুষ্টিকর ফসল। ঘরের কোণা, বারান্দা বা ছাদেও এটি সহজে চাষ করা যায়। মাত্র ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া সম্ভব এবং বাজারে এর দাম প্রতি কেজি ২০০-৫০০ টাকা।
স্ট্রবেরি এখন বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় লাভজনক ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উচ্চ বাজারমূল্য, কম সময়ে ফলন, এবং সীমিত জায়গায় চাষযোগ্যতার কারণে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়াও সমতল ভূমিতে, এমনকি ছাদে বা টবে হাইড্রোপনিক ও পলি হাউস প্রযুক্তিতে স্ট্রবেরি চাষ করা সম্ভব।
অ্যাভোকাডো একটি সুপারফুড হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত এবং এখন এটি বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই মাখনের মতো নরম গঠনের ফলটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং হৃদরোগ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ত্বক ও চুলের যত্নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে চিনির পরিমাণ কম হলেও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, এবং নানা গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
রঙিন ক্যাপসিকাম চাষ নিয়ে এই গাইডে বাংলাদেশে এর জনপ্রিয়তা, চাষ পদ্ধতি, বাজার সম্ভাবনা ও লাভের হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। লাল, হলুদ, কমলা, বেগুনি ও চকোলেট রঙের এই উচ্চমূল্যের সবজিটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। দেশে এর রবি ও খরিফ মৌসুমে চাষ সম্ভব এবং উর্বর দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী।
সফল খামারির জন্য আদর্শ গরুর ঘর এমনভাবে তৈরি হওয়া উচিত যাতে গরুর স্বাচ্ছন্দ্য, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত হয় এবং খামারটি লাভজনক হয়। ঘরটি নির্মাণে খামারির বাজেট ও জমির পরিমাণ অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে সেড ডিজাইন করা প্রয়োজন। গরু এক সারিতে বা দুই সারিতে রাখা যায়, তবে দুই সারির ঘরে মাঝখানে হাঁটার রাস্তা রাখতে হয়। প্রতিটি গরুর জন্য লম্বায় ৪ ফুট এবং সামনে ও পেছনে খাবার ও ড্রেনের জায়গা মিলিয়ে মোট দৈর্ঘ্য হিসাব করতে হয়। ঘরের উচ্চতা সাধারণত ১০ থেকে ১৫ ফুট হয়, তবে বড় খামারে তা আরও বেশি হতে পারে।
ড্রাগন ফল এক সময় ছিল অচেনা ও বিলাসবহুল ফল, কিন্তু এখন এটি বাংলাদেশের হাট-বাজারে সহজলভ্য ও জনপ্রিয়। আকর্ষণীয় রঙ ও স্বাদের পাশাপাশি, এর সহজ চাষাবাদ, কম খরচ, কম রোগবালাই এবং উচ্চ লাভজনকতার কারণে কৃষকদের মাঝে ড্রাগন চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এই লেখায় আগাম লাউ চাষে লাভবান হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, চারা রোপণের সময়, জমি ও মাদা তৈরির নিয়ম, সার ব্যবস্থাপনা, মাছা তৈরি, ছত্রাক ও পোকা দমন, গাছের কাটিং কৌশল এবং ফলন বৃদ্ধির জন্য করণীয় তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষভাবে মাচায় চাষ পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিয়ে পুরো চাষচক্রটি ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যাতে একজন কৃষক পরিকল্পিতভাবে চাষ করে ভালো ফলন ও বাজারে লাভবান হতে পারে। লেখায় বিভিন্ন উন্নত জাতের লাউয়ের নামও উল্লেখ রয়েছে, যা কৃষকদের বীজ নির্বাচনে সাহায্য করবে।
উচ্চ ফলন নিশ্চিত করলেও কৃষকের আয় বৃদ্ধি হয় না, যদি তাদের বাজারে পণ্যের সঠিক মূল্য না মেলে। বাজার অ্যাক্সেসই কৃষকের অর্থনৈতিক সফলতার মূল চাবিকাঠি। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত "আরও উৎপাদন" নয়, বরং "স্মার্ট বিক্রি"। কৃষিকে শুধু উৎপাদনশীল নয়, লাভজনক ও মর্যাদাপূর্ণ পেশা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তরল জৈবসার কী? এটি একটি প্রাকৃতিক সার, যা গবাদি পশুর গোবর, প্রস্রাব, পচনশীল সবুজ উদ্ভিদ, চিটাগুড়, মাটি ও পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এটি গাছের পুষ্টি বৃদ্ধি করে, মাটির উর্বরতা বাড়ায় এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমায়। উপকারিতা: গাছের দ্রুত ও সুস্থ বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা উন্নয়ন এবং রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরতা হ্রাস।
বাংলাদেশের কৃষি লাভ-লোকসানের এক জটিল সমীকরণে আটকে আছে। তবে সঠিক পরিকল্পনা, নীতি সহায়তা, এবং কৃষকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষিকে একটি টেকসই ও লাভজনক খাতে পরিণত করা সম্ভব। এতে কেবল কৃষকদের জীবনমানের উন্নয়ন হবে না, বরং দেশের overall অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে। কৃষকের ভবিষ্যৎ যদি নিশ্চিত হয়, তবেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে।